বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০২৫

কবি এবং কেরানী কবি

মহৎ কবি কখনো ডায়েরি লিখবেন না, এটা আপনাকে বুঝতে হবে। তার জীবন কোন সময়ের ভাংচুর এর মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে নাকি সুখের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে,কবি যদি তার উপর নির্ভর করে কবিতা লিখে থাকেন ,তাহলে তাদের কেরানী কবি বলা যেতেই পারে। প্রেমে হাবুডুবু খেতে খেতে প্রায় সকল যুবক কবি হয়েই যায় একসময়, তাহলে তারাও কবিতার ধারক বাহক,,তাই কি?? নিশ্চই নয়। সুতরাং কবির দায়বদ্ধতা থাকে কবিতার প্রতি,সে নিজের রোজনামচা লিখতে আসেনি, সে নিজের গরিবী,নিজের ভাঙ্গা হৃদয়ের ন্যাকা কান্না, নিজের চড়াই উতরাই কে লিখতে আসেনি, ওসব লেখার জন্য গল্প উপন্যাস ডায়েরি অনেক কিছু আছে,ফেসবুক পোস্ট আছে,, কবিতা কে কবিতার নির্জনতায় ছাড়ুন, দর্শনে ছাড়ুন, মনস্তত্ত্বে ছাড়ুন, পরবাস্তববাদ হোক,বা জাদু বাস্তববাদ এর হাতে ছাড়ুন,যদি আপনার দ্বারা না হয়ে থাকে হাল ছাড়ুন,কিংবা চর্চা করুন, কিন্তু সাধারণ পাঠক কে কবিতা নাম দিয়ে নিজের রোজ নামচা কে কবিতা হিসেবে খাওয়াবেন না, বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবেন না।।। ছ্যাঁকা লেগে থাকলে ইগনোর করবেন , যদিও গভীর জাত কবিতা তে লোকসান কবির, ব্যক্তিগত জীবন মানুষ খায় ভালো।।।।।😊

রবিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২৫

কবি কবিতা ও প্রচার

কবি সাব্জেক্ট দিয়ে সাধারণ যে কাউকে ছবি আঁকতে বলুন,কিংবা মাথার ভিতর একটা প্রতিকৃতি বানাতে বলুন, দেখবেন বাঙালি কবি বলতে এখনো বোঝে গতানুগতিক সেই একটা কাঠামো,চশমা,পাঞ্জাবি, সাইড ব্যাগ,উস্কো খুস্কো,চটি, দাড়ি ভরা গাল (কবির সিং এর ও ছিল) শান্তিনিকেতন এর মাফলার (যদি শীতকাল হয়) যাই হোক,বাঙালির কি দোষ!আমরাই ভাবিয়েছি কবি আসলে এমন ই হয়, তাহলে কবি অমন হয় না? কবি যে এমনই হতে হবে?এই ছক ভাঙতে হবে। ২০২৫ এ দাড়িয়ে কবিকে একজন স্পর্ধার,আত্মবিশ্বাস এর চরিত্র হতে হবে,কবি কে হতে হবে সোজা মেরুদণ্ডের একটা মানুষ। বাঙালি কবি কে চিরকাল গ্রহণ করেছে অভাবী,ভেঙে যাওয়া মানুষ,অসহায়,এই রকম সমস্ত নেগেটিভ বিশেষণ দিয়ে,,যেন কবি হলে তাকে এসব নিয়েই থাকতে হবে!হবেই। কবি লেজ গোটানো নিরীহ বিড়াল নয় মানুষ কে বুঝতে হবে। এখানে কবিতা লিখে পেট চলে না কারো, স্থায়ী ইনকাম,ব্যাক সাপোর্ট না থাকলে এখানে কবিতা লেখা পাগলামি এবং অসুখ।সেখানে দাঁড়িয়ে নিজের কবিতার বই এর বিজ্ঞাপন নিজে দেবেন এতে ভুল কোথায়! নিজের পকেটের টাকা ইনভেস্ট করে খিচুড়ি কেও কাব্যগ্রন্থ বানিয়ে দেওয়া যায়,আমরা এমন এক অসুস্থ দূষিত সমাজে রয়েছি,এখানে সব চলে,সব সম্ভব। এখানে প্রকাশ্যে ক্রাইম চলে, রাষ্ট্র ধর্ষকের পোদে চুমু খায়,আর আপনি ভাঙ্গা নিরীহ কবি হয়ে কবিতা লিখবেন??? আপনি এক নবীন কবি,কোনো এক সুহৃদ প্রকাশক নিজের টাকা যখন আপনার কবিতায় ইনভেস্ট করছে আপনার দায়িত্ব থাকে সেই প্রকাশক কেও সেই টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার,তার জন্য বিজ্ঞাপন আত্মপ্রচার জরুরী ।এখানে আপনাকে বাস্তববাদী হতেই হবে। আমি কখনোই ভাবিনি প্রকাশক পাবো, ২০২৫ এই আমার কবিতার প্রথম স্তর প্রকাশ পেতে চলেছে , হ্যা প্রথম স্তর। আমার হয়ে প্রচার এর জন্য আমি ই আছি, এতে কোনো অন্যায় বা ভুল দেখি না।এই রাষ্ট্র,এই সমাজ আপনাকে আপনার যথাযথ মর্যাদা দিতে সক্ষম নয়,আপনাকে নিজের দ্বারা যেটুকু সম্ভব হিসেব বুঝে নিতে হবে। আর যদি অসহায় কবি সেজে গালে হাত দিয়ে বসে থাকা আপনার কাছে আদর্শ মূলক মনে হয় তবে আপনি প্রস্তর যুগের খুব কাছেই আছেন। পাঠকের চোখে চোখ রেখে কবি তার কবিতা পড়তে বলবে, কবিতা কোনো ন্যাকা ফসল নয়। বইটি প্রকাশিত হলে আশা করব অনেকেই কিনবেন না,কারণ এই কবি কোনো কবিসুলভ আচার আচরণ করেন না। আসছে বাকি আপডেট, সবাইকে আমার প্রণাম,এবং ভালোবাসা। © অঞ্জন ঘোষ রায়

মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

প্রসঙ্গ : অঞ্জন ঘোষ রায় এর দ্বিতীয় কবিতার বই

 কিছু স্পর্ধা মূলক কথা বলব,যেখানে আমার বিনয় কে খাটো মনে হতে পারে,কিন্তু আমাকে বলতে হবে, সোস্যাল মিডিয়া বিনয় কে দুর্বল চোখে দেখে,এটা আমরা জানি। এটা বই এর প্রচার নয়, ব্যক্তি প্রচার বলা যেতে পারে।

এই মুহূর্তে আমি চতুর্থ কবিতার বই লিখছি, এই কবিতার বই টি পড়বার জন্য আমার নিশ্চিত আসন্ন "দ্বিতীয়" বই ২০২৫ এ (নাম জানানো হবে পরে) এবং অনিশ্চিত আসন্ন (কারণ প্রকাশক পাইনি) "তৃতীয়" বই পড়া টা খুব জরুরী।

এটা একটা লেয়ার এর মতন, আপনাকে অতিক্রম করতে হবে যথাযথ স্বাদ নিতে গেলে অথবা জার্নি টা বুঝতে গেলে.....যদি ইচ্ছে থাকে।

আমি অশিক্ষিত কবি, আমি প্রচুর সাহিত্য জ্ঞান থেকে কবিতা লিখিনা, গুলে খাওয়া হয়নি আমার কোনো লেখক বা কবিকে,বিদেশি তো দূরের কথা দেশি সাহিত্য জ্ঞান ও নিদারুণ কম, এটা আমার কাছে দুর্ভাগ্য জনক,তবে নেতিবাচক নয়,বরং ইতিবাচক, আমি নিজের সাক্ষর টুকু ছাড়ি ,যা আমি এই জন্ম থেকে এই দেশ থেকে এই মানুষ থেকে জীবন থেকে পাই, খুঁটে নিয়ে কবিতার কাছে হেঁটে আসি,কবিতা আমার ভিতর বোধ থেকে বেয়ে নেমে আসে ,দর্শন থেকে আসে,আসলেই কবিতা ম্যাজিক।।। আর এই ম্যাজিক রিয়ালিজম এর জার্নি তে যারা আমার উপর ভরসা রাখবে তাদের আমি হাত ধরে নিয়ে গিয়ে দাড়া করাবো এক অন্য জগৎ এ,কথা দিলাম

সময় সাপেক্ষ অবশ্যই, আমি যা লিখতে চাই, "তা আমি লিখিনি এখনো,যা কেউ লেখেনি এখনো"।এই অবস্থানে দাড়িয়ে ,বেনো জল সাহিত্যের রমরমা তে দাড়িয়ে,পাঠকের অভাবে দাড়িয়ে,জেদ নিয়ে আমাকে পেরোতে হবে কয়েকটা লেয়ার,আর এই লেয়ার গুলোয় পৌঁছনোর মাধ্যম এক একটা বই হবে,আপনাকে পড়তে হবে ,কিনে পড়তে হবে, প্রকাশিতব্য বইটি এখন ছাপাখানায় বেড়ে উঠছে ।।

প্রচ্ছদ এঁকেছেন - Maumita Bhattacharya

প্রকাশক - অভিজিৎ আচার্য। টাকা জলে যাবে জেনেও যে আমার কবিতার বই প্রকাশ এর জন্যে এগিয়ে এসেছে নিজে থেকেই। ।

আগামী বই গুলো দেখা যাক,সহৃদয় প্রকাশক যদি মিলে যায়......


- অঞ্জন ঘোষ রায়...

শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৪

প্রশংসা সৃষ্টিশীল মানুষের জন্য ক্ষতিকর?


 প্রশংসা তখনই সৃষ্টিশীল মানুষের জন্য ক্ষতিকর যখন সে জানে না কিভাবে ব্যালেন্স করে চলতে হয়। ২০১৪ থেকে ২০২৪, দশটা বছর কেটে গেছে, প্রশংসার বৃষ্টি কম হয়নি, একসপ্তা ধরে লিখতে শুরু করা মানুষ এর খাজা পোস্ট এ ও মানুষ কে অপূর্ব দারুন বাহ্ এসব লিখতে দেখে এসেছি,কি যায় আসে তবে প্রশংসায়? কারা করবে প্রশংসা? এই সময়ে দাড়িয়ে কটা মানুষ কবিতার মতন কবিতা খুঁজে বেড়ায় পড়বে বলে! আসল কথা হল পর্যবেক্ষণ , বোধ, ক্ষিদে, জেদ, জুনুন। আর আপনার কৌশল, থেমে না যাওয়ার ,এক জায়গায় পাক না খাওয়ার কৌশল,নিজেকে ভেঙে নিজেকে রোজ তৈরি করবার কৌশল, ব্যাস আপনার সৃষ্টি আপনার নিয়মেই চলবে, যদি আপনার ভিতর মাল এবং মশলা সত্যিই থেকে থাকে। বাংলা কবিতা কবি কে মানুষ বিনয়ী হিসেবে দেখতে পছন্দ করে চিরকাল, কবির যদি স্পর্ধা না থাকে, প্রশংসা যদি সৃষ্টি শীল মানুষ এর সৃষ্টি কে ভোঁতা করে দিতে পারে,তাহলে তার সাহিত্য ,আর্ট,গান,কবিতা ইত্যাদি ছেড়ে কামার শালায় বসে থাকা উচিত, শান দেওয়ার জন্য।।।এটা আমার কারো প্রতি কারো জবাব নয়,কৈফিয়ত নয়,ফ্লেক্স নয়,

 নিজের কাজ নিজে কে এগিয়ে যেতে হবে। ক্রিয়েটিভ পারসন কে আজকের সময় দাড়িয়ে চালাক হতে হবে, যাতে সে প্রশংসা আর সৃষ্টি কে আলাদা করে রেখে নিজে কে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে,ব্যাস এটুকু কৌশল জানা  থাকলেই হল।

প্রশংসা তো আজকের নয়,যেসময় একটুও লিখতে পারতাম না তখন ও বাংলার টিচার প্রশংসা করেছে, অমুক তমুক অনেকেই, সঙ্গীত বাংলার ইন্টার্ভিউ তে একটা সিনেমার কাজের সুত্রে অনেকে প্রশংসা করেছিল, এরকম অনেক প্রশংসা পেয়ে চলেছি প্রায়শই নিজের সামান্য যেটুকু পারি সৃষ্টিশীল কাজের  সূত্রে,এখনো। আমি জানি ফিল্টার কিভাবে করতে হয়। আমি ২০১৫-১৬ এর সেসব লেখা কে বাড়ির পিছনের ডোবা তে ফেলে দিয়েছি তিনটে ডায়েরি,কারণ আমি ভাঙতে চেয়েছি,,এখন যা লিখি,সেসব কে ও ভাঙবো,প্রসেসিং চলছে।। এতকিছু জানানো এ কারণেই,যে আমি প্রশংসা এবং নিজের কাজ আলাদা করে রেখে এগিয়ে চলার কৌশল টা জানি,সকলের জানা উচিত,নইলে কবেই থেমে যেতাম, আর আমি পড়াশোনা না করা পাবলিক,নিজেকে নিজে না ভেঙে যদি এক জিনিসেই পাক খাই,সেটা আমার হেরে যাওয়া হবে।যারা আমার উপর ভরসা রাখছেন তাদের প্রত্যেকের জন্য আমি পাক খাবো না,,নিশ্চিন্তে ভরসা রাখুন,

আগামী দশ বারো বছর এ যেসব লেখা প্রকাশের পরিকল্পনা আছে,যদি কেউ পড়ে সে বুঝতে পারবে কিভাবে ভাংচুর করেছি স্বকীয় মেজাজে।।।


- অঞ্জন ঘোষ রায়।

সোমবার, ২৯ জুলাই, ২০২৪

অঞ্জন ঘোষ রায় এর কবিতা _সাইরেন

 


সাইরেন


বিছিয়ে রাখা শীতল মাদুর,

ঘুঘু ডাকুক,

নিচে ধুলোর কুঠার রাখা আছে।


চাষের জমি দখলের অভিযোগে 

চাষী দের কারাদণ্ড,

ওদিকে 

কুমীর রুমাল কিনে বাড়ি চলে গেল।


দালাল এর উনুনে 

কৃষকের রোদে জ্বলা প্রাণ, 

পাতা ঝরে ঝরে 

লাল হয়ে গেল খাদ্যকণা।


মিছরি মরসুম আসে আর যায়,

মুদ্রার দু পিঠেই মুদ্রা দোষ।

ক্ষিদে পেলে পেটে তবে

গামছা বেঁধে রেখো,


সাইরেন,

সাইরেন,

হাঙ্গামা হবে।।


©অঞ্জন ঘোষ রায়

সোমবার, ২২ জুলাই, ২০২৪

ফারাক - অঞ্জন ঘোষ রায়ের কবিতা

 ফারাক


বিস্তর ফারাক আছে তোমার আমার সিমানায়,
এক পা এগিয়ে গেলেই হয় ইস্পার নয় উস্পার।
শহরের ফ্রিজের ভিতর সমস্ত মানুষের হৃৎপিণ্ড
নুন মাখিয়ে রাখা আছে,
আর নিজের টা প্রেমিকার বুকের ভিতর গেড়ে রেখেছি
বহাল তবিয়ত।
যেন বোমা রেখেছি জলের নিচে তাজা থাকবে বলে, হাস্যকর।
ভাবছি,
এলোপাথাড়ি ভালবাসার বুলেট জমিয়ে
একটা কুয়াশা ভর্তি প্রাসাদ কিনব
নিজেকে লোকাব সেখানে, কিন্তু ছুঁড়ে দেব কিছু প্রকাশ্য প্রশ্ন
যার উত্তর দিতে দিতে রাত নেমে যাবে,
জঙ্গল থেকে লোকালয়ে পৌঁছে যাবে সন্ত্রাস এর নেকড়ে ।

-অঞ্জন ঘোষ রায়

শুক্রবার, ১৯ জুলাই, ২০২৪

দুই বঙ্গ , আন্দোলন, রাষ্ট্র এবং মানুষের মৃত্যু


তুমি কে আমি কে
, রাজাকার রাজাকার 

কে বলেছে কে বলেছে স্বৈরাচার স্বৈরাচার

আমি অঞ্জন ঘোষ রায়, স্যালুট জানাই তোমাদের , বাংলাদেশের সকল আন্দোলনকারী ছাত্র দের, তাদের পাশে থাকা পরিবার কে, মানুষ কে, যুব সমাজকেনিজের অধিকার এর কথা বলতে গেলে তুমি রাষ্ট্রের কাছে দেশদ্রোহী ? এই রাজ্যে সারের দাম কেন বেরেছে জানতে চাওয়া তে কৃষককে পেতে হয়েছিল মাওবাদী তকমাকিছু ভুলিনি আমরা,

 আমরা কারা? যারা নাগরিক, সাধারন মানুষ, যারা আমাদের মৌলিক অধিকারের জন্য কথা বলছি

যেটুকু কথা বলব রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বলব এখানে, মানুষের পক্ষে মানুষের জন্যে বলব, এটা মাথায় রেখেই শুরু করলাম  অনেকেই ভাবছেন এই রাজ্যের অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের ,যে বাংলা দেশে যা হচ্ছে ,হোকএতে আমার কি! আমি তো দিব্যি আছি,অত মাথা ঘামানোর দরকার নেই,

সরি , কোথাও ভুল হচ্ছে...আপনি কোথাও যেন মৃতইআপনি মানুষ তো? যদি উত্তর হ্যা হয়,এই আন্দোলন আপনার ও,এটা কোনো ধর্মীয় ইস্যু নয় ,এটা কোনো সক্রিয় দলীয় রাজনীতির পক্ষ থেকে কর্মসূচি নয়এই আন্দোলন এ আপনার ই দাবি ই তো আছে,সেটা পশ্চিমবঙ্গ হোক বাংলাদেশ হোক,এটা যেকোনো রাষ্ট্রের কাছে নাগরিকের অধিকারের দাবী

মানুষের পাশে মানুষ সহযোদ্ধা হয়ে সহমর্মী হয়ে থাকবে না? মানুষ মানুষের জন্য,আবার মানুষ ই মানুষ কে হত্যা করে, শুধু কোটা আন্দোলন এর বিষয় নয়, বিষয় হল মেরুদণ্ড , সাহস, একতা, বিপ্লব বধ,নিজের অধিকার নিজের পাওনার কথা বলতে গিয়ে শাসক পুলিশ নামক কুকুর লেলিয়ে দিয়ে নাগরিক নিধনে নেমেছে,আর লাশ এর পর লাশ কবর দেওয়া হচ্ছে, সেই লাশের উপর কি হাসিনা ঘোমটা টেনে নিদ্রা যাবেন ? ভাবুন এই স্বৈরাচার রাষ্ট্র যদি আপনার হয়! কি ভাবছেন আপনার রাষ্ট্র এমন নয়? ভেবে দেখুন,সম্ভাবনার দেওয়ালে কান পাতুন,এটা আরও ভয়ঙ্কর

আপনি নিজেকে জাগান, বাংলাদেশের মানুষের দের এই আন্দোলনকারীদের দেখুন,ভাবুন,আমাদের রাজ্যের তুমুল দুর্নীতির বিরুদ্ধে এমন আন্দোলন সম্ভব কি? আন্দোলন ছাত্র থেকেই শুরু হয় প্রভাবশালী ভাবেই, সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতা মনে আছে? এরা মাথা নোয়াতে জানেনা, এরা সেই বয়সের কাছে ঘোরাফেরা করছে, এদের শক্তি রাষ্ট্র কে নাড়িয়ে দিতে সক্ষম, ছাত্র আন্দোলন সবচেয়ে শক্তিশালী বেপরোয়া নির্ভিক আন্দোলন ।।।❤️

এত এত ছাত্রের মৃত্যু ,পুলিশের বেধড়ক গুলি করে ছাত্র হত্যা, রাজনৈতিক দলের অত্যাচার , আপনাকে যদি মানসিক ভাবে ডিস্টার্ব না করে ,আপনি তখন ও যদি এদেশ ওদেশ বিচার করেন,আপনার চিকিৎসা প্রয়োজন,আপনার পারিবারিক শিক্ষা ,আপনার অস্তিত্ব তে প্রশ্ন ওঠেইনিজের যেটুকু সম্ভব সেটুকু আওয়াজ দিন,রাস্তায় নাম্লে নামুন,লিখতে পারলে লিখুন, গান গাইতে পারলে গান গেয়ে এই বিপ্লব এর পাশে থাকুনআপনার দ্বারা বিপ্লব চেতনা অন্তত দুজনের কাছে হলেও সম্প্রচারিত হোকজেগে উঠুন, বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক।। মানব ধর্ম সোচ্চার হোক,মানুষ মানুষের অধিকারের জন্য লড়াই করুক,রাষ্ট্র ভয় পাক।। রাষ্ট্র মানুষের ঊর্ধ্বে নয়।।।।।

 

পশ্চিমবঙ্গের মানুষের শেখা উচিত, দেখা উছিত,শাসকের চোখে চোখ রেখে বুক ঠুকে লড়াই কাকে বলে,এই রাজ্যের শুধু নয়, যেকোনো শাসক যদি নাগরিকের মাথায় উঠে নাগরিকের চোখ মুখ বেঁধে দেওয়ার চেষ্টা করে, বমি করে দাও রাষ্ট্রের মুখে, আগুন জ্বালিয়ে দাও এমন শাসকের বালিশে, যাতে ঘুমোতে না পারেদিনের পর দিন সমস্ত কিছুর মূল্যবৃদ্ধি ,বেকারত্ব, সরকারি স্কুল স্বাস্থকেন্দ্র হাসপাতাল গুলোর অবস্থান,মাথা থেকে পা অব্ধি আপনি যেখানেই তাকাবেন দেখবেন আপনি ডুবে যাচ্ছেন , রাষ্ট্র আপনাকে পুতুল বানিয়ে দিচ্ছে, আমি মনে করিয়ে দিতে চাই আপনি মানুষ, হুশ ফিরুক আপনার, প্রতিবাদ করুন, আর চুপ নয়



অস্বস্তিকর একটা রাত ছিল কাল, আমি জানি এই রাজ্যের অনেকেই এই অস্বস্তি টের পেয়েছে
গ্যাস চেম্বারে ঢুকিয়ে লাখ লাখ মানুষকে ইহুদিকে হত্যা করার ঘটনা ঘটিয়ে ছিল হিটলার পোল্যান্ডের মাটিতেসেই মানুষ গুলোর অসহায়তার খানিক অসহায়তা পাশের দেশের মানুষ গুলো পাচ্ছে, নেট বন্ধ করে দেওয়ার পর এখনো অব্ধি তাই, আজ ১৯ জুলাই,২০২৪ ,আমি ব্যক্তিগত ভাবে অত্যন্ত মর্মাহত এবং বিক্ষুব্ধযোগাযোগের কোনো মাধ্যম নেই, নেটওয়ার্ক বন্ধ,কোথায় কি হচ্ছে ,কিভাবে হচ্ছে,কে কাকে হত্যা করছে,কোনো কিছু প্রকাশিত হচ্ছে না, জানতে পারছে না পৃথিবী , যথেচ্ছ ভাবে নৃশংসতা চলতে পারে, একের পর এক আরও হত্যা করে আন্দোলন কে থামানোর চেষ্টা চলতে পারেপ্রবাসী বাংলাদেশী মানুষ তাদের পরিবারের সাথে বন্ধু পরিজনদের সাথে আর যোগাযোগ করতে পারছেন নাএই অসহায়তা দুশ্চিন্তা ঘুম কেড়ে নিয়েছে প্রত্যেকের, এই তীব্র অশান্ত সময় এর জন্য দায়ী রাষ্ট্র এত খারাপ সময় আর না আসুক , কিন্তু পৃথিবীতে এত খারাপ সময় বিক্ষিপ্ত ভাবে আসতেই থাকবে,মরতেই থাকবে মানুষ।।
কখনো নিজের দেশে কখনো পাশের দেশে কখনো দূরের দেশে।।
বাংলাদেশে
এই গণকবর এর উপর শুয়ে থাকবে
ঘোমটা টেনে রাষ্ট্রের বড় মাথা ...
তবে এভাবে বুলেট পুড়ে দেওয়া যায় নাগরিকের বুকে ন্যায়ের দাবীতে দুহাত তোলায়!

রাষ্ট্রের রক্তের রং কি পিচ এর মতই কালো?


@ অঞ্জন ঘোষ রায় / কলকাতা

 

কবি এবং কেরানী কবি

মহৎ কবি কখনো ডায়েরি লিখবেন না, এটা আপনাকে বুঝতে হবে। তার জীবন কোন সময়ের ভাংচুর এর মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে নাকি সুখের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে,কবি যদি...