মঙ্গলবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৮

First Hug C/o Shilajit.. 2nd december 2018





(First hug c/o silajit)

যা কিছু বলব এখন,সেগুলো সকলের জন্য হলেও সকলের জন্য নয়।
শিলাজিৎ কে পছন্দ নয় এমন মানুষ অনেক আছে,কারণ তারা শিলাজিৎ এর জন্য নয়,আর তাতে কিচ্ছুটি যায় আসেনা।
শিলাজিৎ একটা হাটকে বিষয়। কড়া লিকারের ভূমিকা।প্রথম শোনা গান "ও জীবন রে".. বয়স ১০-১২ হবে হয়ত তখন আমার। জীবন কি জিনিস সে বোধ তখনও তেমন হয়নি,এখনো যে হয়েছে, এমন দাবি ও আমি রাখিনা।তবে গান টা সে সময় আমাকে ভাবাত,কি ভাবতাম জানিনা। এফএম এ প্রায় সময় চলত,একদিন ভিডিও তে দেখলাম একটা গ্রাম এর রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে একটা অগোছালো লোক,বাবার কাছে জানলাম ওটা শিলাজিৎ। যত দিন এগোয়, সব রকম গান শোনার নেশা বাড়তে থাকে,কিন্তু বাংলা সঙ্গীত জগতে শিলাজিৎ এর গতানুগতিকভাঙা ঝান্ডার রং আমাকে বুঝিয়ে দ্যায় শিলাজিৎ এক,এবং অদ্বিতীয়।শিলাজিৎ জানে শিলাজিৎ কি পারে,কি করে,কি ভাবে,কি খাবে।।"সর্বনাশ" গান টা শেষ হলে একটা ডায়ালগ আসে,ওটা তে আমি এনার্জি পেয়েছিলাম মানসিক ভাবে।ওটা কি সেটা বলবনা,গান টা শুনতে হবে আপনাকে।
অনেকে বলে শিলাজিৎ কি এমন গায়!
হ্যা শিলাজিৎ চিৎকার করে,শিলাজিৎ সমাজ বিরোধী,পাক্কা antisocial.
আমি বলি,আপনার সেটা জিজ্ঞেস না করে জিজ্ঞেস করা উচিত ছিল, আচ্ছা অঞ্জন, শিলাজিৎ কে শুনে তোর তুই টা কি এমন পায়!
উত্তর দিতাম,সেটা সকলের জন্য নয়।
শিলাজিৎ এর ফিলোজফি আপনি না ধরতে পারলে ওর গান ,সমস্ত গান এর ক্ষেত্রে আপনি একটা কথাই বলবেন যে "ধরব ধরব করছি তবু ধরতে পারছিনা"।মানুষ টা অনেকটা খোলামেলা,মানুষ টা কে ইচ্ছে করলেই বোঝা যায়,আন্দাজ করা যায়।আপনার সেই মানসিকতা টা থাকা প্রয়োজন।আমার নিজের সত্তার সাথে মানুষ টা কে কোনো না কোনো ভাবে রিলেট করতে পারি।যেদিন সেটা করে ফেলতে পারবেন,ওর গান আপনাকে বুঝে নেবে,আপনাকে কষ্ট করতে হবেনা। যাক সে কথা,শিলু দার ব্যক্তিত্ব ,গলার শব্দ,বেপরোয়া মানসিকতা,অকাট্য কথোপকথন,ইন্টারভিউ ,লাইভ পারফরমেন্স আমাকে অনেকটা কাছে পৌঁছে দিয়েছে।আজ ২ ডিসেম্বর,২০১৮।এই মুহূর্তে আমি ট্রেইন এ বসে নোটপ্যাড এ টাইপ করছি।একদিন একটা কবিতা পড়িয়ে ছিলাম সোশ্যাল মিডিয়া মারফত,দুদিন পর রিপ্লাই পাবো  ভাবিনি।খানিক রাতে ইনবক্স দেখলাম,"ভালো লিখিস" তারপর কিছু দরকারি কথা হয়।
বিশ্বাস করুন,আমি বিছানায় উঠে বসেছিলাম,ঘুমাইনি অনেক ক্ষণ অবধি,মনে হচ্ছিল এটা একটা মিথ্যে,এটা সত্যি!! বহুদিন আগে থেকেই দেখা করার ইচ্ছে টা নতুন করে জাগে। শুধু দেখা নয়,সক্রিয় ভাবে  থাকার ইচ্ছে পোষণ করছিলাম মনে মনে। সারপ্রাইজ পেলাম অত রাতে।সোনাই ফোন করে জানালো দেখা হবে শিগগির।
তারপর অপেক্ষা।আজ কয়েক ঘণ্টা কাটিয়ে এলাম একসাথে ,সাথে আরো ভক্তেরা,বন্ধুরা।অসাধারণ প্রাপ্তি।আমি জাস্ট চুপ ছিলাম আজ,কোনো কথা বলিনি,আসলে বলতে পারিনি।জানিনা কে কি ভেবেছে,আমি শিলাজিৎ কে অনুভব করছিলাম,সুযোগ খুঁজছিলাম সবার ভিড় একটু হালকা হলে একটু জড়িয়ে ধরব।হ্যা জড়িয়েছি,দাদা যেভাবে চেপে ধরেছিল,সে মুহূর্ত টা স্বর্গ ছিল।আমার জল এসেছিল চোখে,এটাই শিলাজিৎ আমার কাছে।আরো কিছুক্ষন ইচ্ছে করছিল ওভাবে থাকতে।যতবার দেখা হবে অন্তত ১ মিনিট ওভাবে থাকতে দিও। জয় গুরু।
@অঞ্জন ঘোষ রায়....

রবিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৮

হজম করতে ANTACID ( কবিতা নয়, চুলকানি)২০১৮



শুনুন,আপনি মাটি তে থেকে মাটির কথা বলুন,মাথা টা এবার এট্টু খানি হালকা করে তুলুন,নিন,এবার আকাশ এর কথা বলুন। গ্যালাক্সি নিয়ে নাক গলাতে যাবেন না যেন,ওটা আবার কিন্তু আয়ত্বের বাইরে।ওই আকাশ,মেঘ,তারা,ব্যাস ব্যাস,আর এগোবেন না,খবরদার,আর না।
ধূমকেতু-নীহারিকা রাখাই যায়,তবে থাক,ওটা তেমন খাবে না মানুষ।

আচ্ছা,মাটিতে থেকে মাটির ভিতরের কথা কজন বলতে পারে! ভিতরে বলতে ভিতরে,অনেক ভিতরে,যেখানে সভ্যতা বলে কিছু নেই,যেখানে গাদা গাদা রহস্য, দৃষ্টিবোধ,দর্শন আরো এরকম সব জিনিস মারামারি করে,আবার এক সাথে চা টা খায় আর কি! চা এর দোকান টা পৃথিবীর আত্মার।আপনাকে
অনেকটা নিচে নামতে হবে,অনেকটা,সেখানেই আসল উচ্চতা।
আপনি আপনার গল্পে বাক্য দেখছেন,বাক্যের ভিতর গলিপথ দেখেননি,দেখেননা,দেখছেন না।গলিপথ এর ভিতর চোরাপথ আছে,সেটার তো কোনো প্রশ্নই ওঠে না,ফালতু যতসব।।কারণ আপনি ঐ সমস্ত দেখতে গেলে, সাধারণ মানুষ আপনাকে দেখবে না।আর আপনি ও সাধারণ মানুষ,তাই তাদের জন্য মাথা ব্যাথা টা আপনার যথেষ্ট আছে।
আপনি কবিতার মতো কবিতার সাথে সহবাস করেননি,করলে আমাদের মতন,কিছু পাগলের বাচ্চার মতন নির্জন দ্বীপ এর বাসিন্দা হয়ে যাবেন।
আপনি সেটা চান ও না,যেমন টা কমার্শিয়াল মুভি ডিরেক্টর রা চান না।
সবাই যদি চাইত,তবে জীবনানন্দ আবার ও ফিরে অসিত,ঋতুপর্ণ ঘোষ আবারো চিত্রাঙ্গদা বানাইত।
আপনি ভাবতে চান না,সময় কোথায় অত! পাঠকের ও ভাবার মতন সময় নেই। সস্তা ফুটেজ পাবেন আপনি,সস্তা লিখুন। না না সস্তা বলে কিছু হয়না,কবি লিখছেন,ওটা সস্তা কখনোই নয়।এবার দেখুন মানুষ এর ভিড় কত আপনার পাশে।
আপনার লেজ,মাথা,হাত সব ধরে টান মারছে,মাঝে মাঝে ভয় করে শিকল টা ধরে না টেনে দ্যায়।।
সে যাই হোক,অত কিছু জানিনা,আপনি বেশি ভাবনার জিনিস লিখতে যাবেন না,মানুষ বুঝবেই তো না,কি হবে ছাই ওসবে?
জ্যোতির্ময় দা বলেছিল ,কবিতা আসলে বাল ছিঁড়ে আঁটি বাঁধা।
ঠিক তাই,আপনার ওসব ছেড়া বাঁধা অত নাটকের দরকার নেই,সাধারণ মানুষ কে পাশে রাখুন।সেই ভাবে চলুন।

এবার দেখুন আপনি ভাবছেন।ব্যাপারটা কি হল! কি বলে গেল সবজান্তা টা এতকিছু?

যদি না ভাবেন, তাহলে আমায় বিসর্জন দিন।

এর পর হজম না হতে পারে।অ্যান্টাসিড নিয়ে রাখুন।
(অঞ্জন ঘোষ রায়)

বুধবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৮

গদ্য কবিতা:- কথা ছিল / ২০১৮


( গদ্য কবিতা )

(নাম:- কথা ছিল)
কথা ছিল তোর জন্যে একটা কবিতা জন্ম দেব।শব্দ গুলো সব পোক্ত ভাবে সাজানো থাকবে,যেমন টা থেকে থাকে  আর কি আগাগোড়া । অভিমান থাকবে,কষ্ট থাকবে,আর তার চেয়েও বেশি থাকবে ভালোবাসা।এই শব্দ টা না আমার কাছে বেশ নাটকীয় শোনায়,বোকা বোকা,তাও আমি লিখব তোর জন্য,কথা ছিল। তোকে সেটা পড়াব আমি,তুই পড়তে পড়তে চোখে টলটলে দীঘি দের ঘর বানাবি,আমি জড়িয়ে ধরে বলব,বুকে টেনে নিয়ে বলব তোকে ভালবাসি।
কথা ছিল তোর জন্য একটা সাদামাটা প্রেমের গল্প লিখব,একটা লম্বা সিড়ি বানাব,তুই ভেজা খোলা চুল সামলে উঠবি গোলাপী পায়ে,ছাদে আমি এক কোণে দাঁড়িয়ে থাকব,থাম এর আড়ালে,তুই জানতেও পারবিনা,হঠাৎ করে জাপটে ধরে আমি একশ চুমু দেবো তোর ঠোঁটে, গালে, গলায় ,ঘাড়ে,তুই বাধা দেওয়ার ভান করবি,কিন্তু বাধা দিবিনা। এমনটাই কথা ছিল।
কথা ছিল,একসাথে বই পাড়া চষে বেড়ানোর,ফুচকার দোকানে খুব করে ঝাল দিয়ে চোখে জল আনবার,যদিও বা এখন এমনিই তা আসে,তবে তা নির্দিষ্ট সময়ে, রাতে বিছানায় শুয়ে,যখন মানুষ এর মন-মনন খুব নরম , দুর্বল এবং নির্লজ্জ হয়ে যায়,তখন।
তোকে আমি চিনেছি কিভাবে,তুই আমাকে চিনলি কিভাবে সেটা অদ্ভুত গল্পে,আমার লেখা কবিতায়।তুই আমার সুন্দরী পাঠিকা,আমার উপন্যাস হয়ে উঠেছিস ,উপন্যাস এর লাইন গুলো আমি তোর মুখ থেকে নিয়ে বসাতাম,মনে হোত এবার ঝর্ণা নামবে,ছাউনী তে চাঁদ এর ভেজা ভেজা আলো পড়বে,শিশির মাখা তোর হাত,আমার দাড়ি ভর্তি গালে বিলি কাটছে,তোর নিশ্বাস পড়ছে আমার থুতনিতে এসে,আমি তোর ঘাড় এর কাছে হাত নিয়ে ভালোবাসা রাখছি,আদর রাখছি যত্ন করে। মনে হোত।
কথা ছিল আমি তোর কষ্ট কারাগারে নিজেকে কয়েদী বানাব,ইউনিফর্ম টা তুই উপহার দিবি আমার জন্মদিনে,আর আমি তোর জন্মদিনে উপহার দেব,এমন কোনো বই,যে বই তে আমার আঙ্গুল গুলো হাত রাখত কোনোদিন।এবার তুই সেই স্পর্শ নিবি বই এর ভিতর,গন্ধ নিবি।আমি তৃপ্তি পাব,কথা ছিল।
কথা ছিল,তুই আমার পাশে,কাছে,অনেকটা কাছে থাকবি,আমি যখন একলা চোখে জলের ভিতর মনমরা স্মৃতি হাতরে বেরাবো,তুই হাত বুলিয়ে দিবি আমার আত্মায়,ওটা তুই ই পারিস শুধু,কারণ তুই আমার উপন্যাস।
কথা ছিল,এখনো আছে,তুই আছিস, আসলে তোর স্মৃতি গুলো আছে,আমি গুছিয়ে রেখেছি,যত্ন রাখে ন্যাপথলিন।
এখন তুই অনেকটা দূরে কোনো পাহাড় এর গায়ে,যেখানে রোজ বহু সংখ্যার মেঘ ভাঙ্গে দেওয়ালে দেওয়ালে ধাক্কা খেয়ে,তুই কাঠের রেলিঙে হেলান দিয়ে বসে গান শুনিস, "ওহ শাম কুছ আজীব থি,ইয়ে শাম ভি কুছ আজীব হ্যায়"। আমিই গেয়ে ছিলাম কোনওদিন,সুর টা পাক্কা ছিলনা,তাও তুই সেটাই শুনিস,তোর নাকি ভাল লাগে,আলাদা কি নাকি পাস ওতে! আমি বুঝিনি। এখনো আগলে রেখেছিস। তোর নিজের অজান্তেই এখন তোর চোখে জল ,তুই চোখ বুজে নিলি,এক ফোঁটা পড়ল মোবাইল এর স্ক্রিনে।তুই কাদছিস,কেন কাদছিস নিজেও জানিসনা। রিংটোন টা বেজে উঠল - "ও যে মানে না মানা"
রণদীপ ফোন করেছে তোকে,তুই কল টা রিসিভ করিসনি,আবার ফোন এলো এবার রিসিভ করে চুপ করে থেকে বললি "রণদীপ আমি ভালো নেই"।
সন্ধ্যা হলে আকাশ এর রঙ টা প্রায়দিনই বেগুনি আভায় জড়িয়ে যায়।আজকে তুই বেগুনি সালোয়ার টা পড়েছিস,আমি দিয়েছিলাম,তোর জন্মদিন আজ,কথা ছিল তুই প্রতি জন্মদিন এ এই সালোয়ার টা পড়বি,আমি না থাকলেও,তুই কথা রাখিস।
কথা ছিল তুই আমার উপন্যাস হবি,হয়েছিস।
©অঞ্জন ঘোষ রায়

শনিবার, ২৮ জুলাই, ২০১৮

কবিতা: রোদ ..অঞ্জন ঘোষ রায়


কবিতা:- রোদ

এক মুঠো রোদ এসেছে আমার পাড়ায়,
তুমি হতে পারো অন্য কেউ,কিংবা তুমিই,
ভেজা চুল এর ভিতর একটা শহর,সেখানকার এলো গন্ধ আমি পাইনি,তবে দেখেছি প্রতিদিন অবাক হয়ে,,
এত সুন্দর ও কেউ হতে পারে??কিভাবে,,,
মন বলে তক্ষনি,পারে পারে,,যেমন তুমি....
মায়া মুখ,,মায়া হাসি,মায়া চোখ,
আমিও ভাসছি হাওয়ায়,সব তোমারই কলকাঠি,,
কিন্তু তুমি জানতে পারোনা,,,
কেনো এত ভাল লাগে তোমাকে,,
কেন সারাক্ষণ একটা উন্মাদনা কাজ করে ভিতর ভিতর,,আমি বুঝিনা,প্রশ্ন গুলো জমতে থাকে,
শুধু  তোমাকে ভাবতে ভাল লাগে,,আমি ভাবি,,
শুধুই ভাললাগা? নাকি আরো কিছু!!
কিজানি,,থাক সেসব কথা আজ থাক,,,
তুমি আরো সুন্দর হও নিজের মতন করে,,,
আর পাগল করো এই আমায়,,,
প্রতিদিন,,প্রতিদিন,প্রতিদিন।।।
©অঞ্জন ঘোষ রায়..

শনিবার, ২৩ জুন, ২০১৮

অসুখ ..©অঞ্জন ঘোষ রায় Poem_Osukh


_______লেখা - "অসুখ"(©অঞ্জন ঘোষ রায়)______

রাস্তার অল্প জমা জল,
আর তাতে,নিজের মুখ দেখার জন্য,
ছিটেফোঁটা বৃষ্টি কিনেছিলাম,,অনেকবার,,

মেঘালয়ের ভাঙা মেলা থেকে।।

অনেকবার জলের কালি দিয়ে কাঁচ এর ওপর, নিজের মিথ্যেনাম লেখার চেষ্টা করেছিলাম।। 
নিজের ঘরের দেওয়াল থেকে

একলা ছায়া টা কে ও ঘষে মেঝে 

মুছে দেওয়ার চেষ্টা করেছি,

অনেকবার হাঁটু গেড়ে বসে 

ঘুমের ভিতর প্রশ্ন করেছি,,

কবে ঘুম ভাঙলেই দেখতে পাওয়া যাবে?

যে পৃথিবীর সব মানুষ একটা অদ্ভুত বৃত্তের ভিতরে, ভালোবাসায় মগ্ন হয়ে আছে!!

তারপর থেকে অনেকদিন, অনেককাল কেটে গেছে,এখন আর সেসব প্রশ্ন,চেষ্টা,আসে না,

চোখে ঝাপসা দেখি,কবিতা কে
 কাঠফাটা ভুল বানানের গদ্য মনে হয়,,

আর যেটা আসে সেটা হল চারপায়া অসুখ

আর সময় এর খেলাপ , নির্জনতা....।।

                      লেখা@অঞ্জন ঘোষ রায়......
                           _________________


বৃহস্পতিবার, ৭ জুন, ২০১৮

গাংচিল/অঞ্জন ঘোষ রায়/poem gangchil 2018

লেখা:-গাংচিল (ROJDIN.IN এ প্রকাশিত)
©অঞ্জন ঘোষ রায়..... বাটানগর.....

দ্যাখো,মাটি তে আমার গন্ধ লেগে আছে,নীরব, গভীর।। 
অচেনা কিংবা চির পরিচিত কেউ,অথবা অনাত্মীয় গাংচিল।
ধুপ এর গন্ধ উপচে পড়ে রোজদিন,
কেউহীন তুলসি তলা থেকে,সেখানে দেহ আসে, উঠে যায়,, 
নিষ্প্রাণ, মৃত,তবুও জীবিত,খানিক টা আমারি মতো।।রাত ভাঙে,শরীরে শরীর ভাঙে, শহর ভাঙে,দেশ ভাঙে,,,

লাঙল এর হাতল জানে সবি,,, কারা খাদ্য খাদকের ভুমিকায়,,
কেউ কোনোদিন কারো নয়,,এ গল্প কমবেশি  সবাই জানে,
এ গল্প আজকের কথা নয়,,বহুকাল আগের,
বহুকাল মনের মতো করে স্বপ্ন দেখেনি কেউ
ঘুম এর ভিতর আঁতকে উঠেছে,,ইতি টেনেছে ভাবনায়,,
দেওয়ালে পিঠ, এই বুঝি এলো অশ্বারোহী,,দানবীয় ঝড় নিয়ে,,
অথবা দারুন শীত,আত্মায়......
©অঞ্জন ঘোষ রায়।।।

বৃহস্পতিবার, ২৪ মে, ২০১৮

রাত,কালো,আর আমি......অঞ্জন ঘোষ রায়...anjan ghosh roy poem,

--"রাত , কালো,আর আমি"--
©অঞ্জন ঘোষ রায়........

দিন হয় হয়তো!কি জানি,আমার ঘরে তো হয় না,
আমার সারা ঘরে সোঁদা অন্ধকার,,হিম পড়ে সারারাত,
জোনাকি দের আত্মারা বৈঠক করে,
আমি অন্ধকারেই বই পড়ি,, অন্ধ বই...।।
আঙুল ধরি ছায়াপথ এর,বিশ্রাম নিতে উদ্যত হই ,
অদ্ভুত বিশ্রাম,, যার সারমর্ম মানুষ খুঁজে বেড়ায় চিরকাল.....

একটা ফিলামেন্ট কাটা বাল্ব ঝুলে থাকে আকাশ থেকে সারাক্ষণ,
আমি তো জন্ম থেকে একেই সূর্য ভাবি,,খুব শীত আগুন পোহাই,,
 শীত শীত আগুন,নিভু নিভু তাপ।।
গতপরশু এই অন্ধকার এর দেওয়াল বেয়েই পৌঁছে গিয়েছিলাম
একশ গ্রাম এর পর ,এক বিস্তর নির্জন এলাকায় কে যেন ধুপ জ্বালিয়ে গেছে,,
আর তার থেকে লিকলিকে রোগা ধোঁয়া একেবেকে উঠছে ,,
তার গতিপথ আমি ঠাহর করতে পারিনি,,শুধু
 শুকনো মুখ নিয়ে পায়ের ছাপ চিনে চিনে ফিরে এসেছি ,
নিজের ঘরে,,কয়েদি সেজে আবার নিজের জেলখানায়।।
©অঞ্জন ঘোষ রায়





মঙ্গলবার, ১ মে, ২০১৮

এক এক্কে এক by অঞ্জন ঘোষ রায়

এক এক্কে এক

অঞ্জন ঘোষ রায়


কষ্ট হতে হতেও সেটা না হওয়া টা আমার,,চির স্বপরিচিত এক স্বভাব,বলতে পারো।।অ্যাসিড বৃষ্টি তে আমি শরীর কিভাবে ধুই, সেটা তুমি জানতেই পারোনা,,চেষ্টাই করোনি!!
ভিড় এর ভিতর হেঁটে যাওয়ার সময়,,ধুলো চাটা আঙুল গুলোর দিকে তাকিয়েছ কখনো??
তাকালে বোঝা যায়, আমরা কত টা একা।।।
দেওয়ালে উঠোনে রোদ এসে পড়ে প্রতিদিন,,নিয়ম করে।নিয়ম করে নিজের নামতা পড়া হয় কই
,শুধু এক এক্কে এক,,আওড়াই!!

এক এক্কে এক


একটা কঠিন মুদ্রাদোষ এ, শেষ হয়েছে সব টা ই।।
আজকাল ঘরে ফুটো ছাদের ছাঁকনি তে আমি তারা ধরি,,প্রতি প্রাপ্তিতে এক কোনে ঘরে গ্রামাফোন বেজে ওঠে,,শান্তি আসে অন্ধকার এর ক্লান্তিতে,,কিছু টা হলেও।।এ প্রাপ্তি কয়েক বাক্যের,কয়েক সংলাপে,,যার থেকে রক্ত ঝরার কথা আছে চুপচাপে,,,,,আমি ফিরে দেখিনা তাই,,,চলে যাই রাস্তার ধার ঘেঁষে,,সংসার ফেলে,পরিজন ফেলে,এক অন্য পৃথিবীতে।।
তার আগে ,আমি রোজ রাতে কিছু কথা লিখে রাখি টেবিল এ,আলো জ্বালিয়ে রাখি,যদি তুমি ভুল করে এসে পড়ো,,পড়ে নিও,,দরজা খোলা রাখা থাকে,,হাওয়ার তাগিদে,,তারা আসবে বলে,কিংবা তুমি,,,লাভ কি,,,,,,আমি মৃত কবিতায়।।

©অঞ্জন ঘোষ রায়...
1st may 2018

কবি এবং কেরানী কবি

মহৎ কবি কখনো ডায়েরি লিখবেন না, এটা আপনাকে বুঝতে হবে। তার জীবন কোন সময়ের ভাংচুর এর মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে নাকি সুখের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে,কবি যদি...