শুক্রবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

মাদল _ একটি রাত এর অভিজ্ঞতা © anjan ghosh roy 2019



"মাদোল"
মাদোল বাজছে জঙ্গলে,ঘন জঙ্গল।এই রাস্তা টা যেখানে যাতায়াত শেষ করেছে মানুষ এর,ঠিক সেখান থেকে মিনিট পাঁচেক।আরো কিছু মানুষ সেখানে হেঁটে যায়,কিছু মানুষ সেখানেই থাকে,আর জড়িয়ে থাকে গোটা মাহোল ,মাদোল এর মাদকে।।
আমি ঠিক সন্ধ্যা ফুরিয়ে গেলে রাস্তায় নেমেছি,হাঁটছি,কাউকে কিছুই বলে আসিনি,আমি জঙ্গলের দিকে হাঁটছি।জলের ছায়া পড়েছে আকাশে,রাস্তা টা ভাঙাচোরা,একটা ছন্দ আসছে পায়ে,পাহাড় এর গা বেয়ে নেমে এসেছে হয়ত!না কোনো ভয় নেই।অচেনা জলবায়ুর গন্ধে আমি মেতে আছি।পৃথিবী তে মনে হয় আমি জেগে আছি একাই ,ওই জঙ্গল এর সাথে।সবকিছু স্থির ,কেউ এখনো রাতের টেবিলে কবিতা না লিখতে পারার কারণে অস্থির হয়ে আছে।এখনো কেউ জল ছাড়া নদীর মাঝখানে উচু পাথর টা য় বসে জোনাকী দের কথা শুনছে।
এসব হাবিজাবি ভাবতে ভাবতে আমি এসে গেছি জঙ্গলের ভিতর।সরু পাথুরে রাস্তা,ফাঁক ফোঁকর দিয়ে আসা আলোয় বেশ খয়েরী।কিছুটা দূরেই আগুন আগুন রং চোখে এসে পড়ল,আমি আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছি।অনভ্যস্ত হাত এ পৃথিবীর এক অসাধারণ অর্থ ধরতে চলেছি।অনেক গুলো সাঁওতালি পোশাক হীন মেয়ে স্বাগত জানিয়ে খাটিয়াতে এনে বসায়।আমি চোখ রগড়াতে রগড়াতে " ঝিঁঝিগা গিতাং ঝিঝ গিনিতা,কিনিতা কিনীতা" তে নিজেকে এলিয়ে দিলাম।
খানিক বাদে সমস্ত টা থেমে গেল,শুকনো ঠোঁটে ধুলো লেগে আছে।উপুড় হয়ে পড়ে আছি জঙ্গলে।আকাশে অল্প নীল,কেউ ডাকছে আমাকে।ঘরে যেতে হবে,ফিরে যেতে হবে।কত গুলো পাখি ডানা ঝাপটে চলে গেল মাথার ওপর দিয়ে গতরাত কে ভুলিয়ে দিতে দিতে।
©অঞ্জন ঘোষ রায়

কবি এবং কেরানী কবি

মহৎ কবি কখনো ডায়েরি লিখবেন না, এটা আপনাকে বুঝতে হবে। তার জীবন কোন সময়ের ভাংচুর এর মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে নাকি সুখের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে,কবি যদি...