প্রশংসা তখনই সৃষ্টিশীল মানুষের জন্য ক্ষতিকর যখন সে জানে না কিভাবে ব্যালেন্স করে চলতে হয়। ২০১৪ থেকে ২০২৪, দশটা বছর কেটে গেছে, প্রশংসার বৃষ্টি কম হয়নি, একসপ্তা ধরে লিখতে শুরু করা মানুষ এর খাজা পোস্ট এ ও মানুষ কে অপূর্ব দারুন বাহ্ এসব লিখতে দেখে এসেছি,কি যায় আসে তবে প্রশংসায়? কারা করবে প্রশংসা? এই সময়ে দাড়িয়ে কটা মানুষ কবিতার মতন কবিতা খুঁজে বেড়ায় পড়বে বলে! আসল কথা হল পর্যবেক্ষণ , বোধ, ক্ষিদে, জেদ, জুনুন। আর আপনার কৌশল, থেমে না যাওয়ার ,এক জায়গায় পাক না খাওয়ার কৌশল,নিজেকে ভেঙে নিজেকে রোজ তৈরি করবার কৌশল, ব্যাস আপনার সৃষ্টি আপনার নিয়মেই চলবে, যদি আপনার ভিতর মাল এবং মশলা সত্যিই থেকে থাকে। বাংলা কবিতা কবি কে মানুষ বিনয়ী হিসেবে দেখতে পছন্দ করে চিরকাল, কবির যদি স্পর্ধা না থাকে, প্রশংসা যদি সৃষ্টি শীল মানুষ এর সৃষ্টি কে ভোঁতা করে দিতে পারে,তাহলে তার সাহিত্য ,আর্ট,গান,কবিতা ইত্যাদি ছেড়ে কামার শালায় বসে থাকা উচিত, শান দেওয়ার জন্য।।।এটা আমার কারো প্রতি কারো জবাব নয়,কৈফিয়ত নয়,ফ্লেক্স নয়,
নিজের কাজ নিজে কে এগিয়ে যেতে হবে। ক্রিয়েটিভ পারসন কে আজকের সময় দাড়িয়ে চালাক হতে হবে, যাতে সে প্রশংসা আর সৃষ্টি কে আলাদা করে রেখে নিজে কে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে,ব্যাস এটুকু কৌশল জানা থাকলেই হল।
প্রশংসা তো আজকের নয়,যেসময় একটুও লিখতে পারতাম না তখন ও বাংলার টিচার প্রশংসা করেছে, অমুক তমুক অনেকেই, সঙ্গীত বাংলার ইন্টার্ভিউ তে একটা সিনেমার কাজের সুত্রে অনেকে প্রশংসা করেছিল, এরকম অনেক প্রশংসা পেয়ে চলেছি প্রায়শই নিজের সামান্য যেটুকু পারি সৃষ্টিশীল কাজের সূত্রে,এখনো। আমি জানি ফিল্টার কিভাবে করতে হয়। আমি ২০১৫-১৬ এর সেসব লেখা কে বাড়ির পিছনের ডোবা তে ফেলে দিয়েছি তিনটে ডায়েরি,কারণ আমি ভাঙতে চেয়েছি,,এখন যা লিখি,সেসব কে ও ভাঙবো,প্রসেসিং চলছে।। এতকিছু জানানো এ কারণেই,যে আমি প্রশংসা এবং নিজের কাজ আলাদা করে রেখে এগিয়ে চলার কৌশল টা জানি,সকলের জানা উচিত,নইলে কবেই থেমে যেতাম, আর আমি পড়াশোনা না করা পাবলিক,নিজেকে নিজে না ভেঙে যদি এক জিনিসেই পাক খাই,সেটা আমার হেরে যাওয়া হবে।যারা আমার উপর ভরসা রাখছেন তাদের প্রত্যেকের জন্য আমি পাক খাবো না,,নিশ্চিন্তে ভরসা রাখুন,
আগামী দশ বারো বছর এ যেসব লেখা প্রকাশের পরিকল্পনা আছে,যদি কেউ পড়ে সে বুঝতে পারবে কিভাবে ভাংচুর করেছি স্বকীয় মেজাজে।।।
- অঞ্জন ঘোষ রায়।