ধূমকেতু-নীহারিকা রাখাই যায়,তবে থাক,ওটা তেমন খাবে না মানুষ।
আচ্ছা,মাটিতে থেকে মাটির ভিতরের কথা কজন বলতে পারে! ভিতরে বলতে ভিতরে,অনেক ভিতরে,যেখানে সভ্যতা বলে কিছু নেই,যেখানে গাদা গাদা রহস্য, দৃষ্টিবোধ,দর্শন আরো এরকম সব জিনিস মারামারি করে,আবার এক সাথে চা টা খায় আর কি! চা এর দোকান টা পৃথিবীর আত্মার।আপনাকে
অনেকটা নিচে নামতে হবে,অনেকটা,সেখানেই আসল উচ্চতা।
আপনি আপনার গল্পে বাক্য দেখছেন,বাক্যের ভিতর গলিপথ দেখেননি,দেখেননা,দেখছেন না।গলিপথ এর ভিতর চোরাপথ আছে,সেটার তো কোনো প্রশ্নই ওঠে না,ফালতু যতসব।।কারণ আপনি ঐ সমস্ত দেখতে গেলে, সাধারণ মানুষ আপনাকে দেখবে না।আর আপনি ও সাধারণ মানুষ,তাই তাদের জন্য মাথা ব্যাথা টা আপনার যথেষ্ট আছে।
আপনি কবিতার মতো কবিতার সাথে সহবাস করেননি,করলে আমাদের মতন,কিছু পাগলের বাচ্চার মতন নির্জন দ্বীপ এর বাসিন্দা হয়ে যাবেন।
আপনি সেটা চান ও না,যেমন টা কমার্শিয়াল মুভি ডিরেক্টর রা চান না।
সবাই যদি চাইত,তবে জীবনানন্দ আবার ও ফিরে অসিত,ঋতুপর্ণ ঘোষ আবারো চিত্রাঙ্গদা বানাইত।
আপনি ভাবতে চান না,সময় কোথায় অত! পাঠকের ও ভাবার মতন সময় নেই। সস্তা ফুটেজ পাবেন আপনি,সস্তা লিখুন। না না সস্তা বলে কিছু হয়না,কবি লিখছেন,ওটা সস্তা কখনোই নয়।এবার দেখুন মানুষ এর ভিড় কত আপনার পাশে।
আপনার লেজ,মাথা,হাত সব ধরে টান মারছে,মাঝে মাঝে ভয় করে শিকল টা ধরে না টেনে দ্যায়।।
সে যাই হোক,অত কিছু জানিনা,আপনি বেশি ভাবনার জিনিস লিখতে যাবেন না,মানুষ বুঝবেই তো না,কি হবে ছাই ওসবে?
জ্যোতির্ময় দা বলেছিল ,কবিতা আসলে বাল ছিঁড়ে আঁটি বাঁধা।
ঠিক তাই,আপনার ওসব ছেড়া বাঁধা অত নাটকের দরকার নেই,সাধারণ মানুষ কে পাশে রাখুন।সেই ভাবে চলুন।
এবার দেখুন আপনি ভাবছেন।ব্যাপারটা কি হল! কি বলে গেল সবজান্তা টা এতকিছু?
যদি না ভাবেন, তাহলে আমায় বিসর্জন দিন।
এর পর হজম না হতে পারে।অ্যান্টাসিড নিয়ে রাখুন।
(অঞ্জন ঘোষ রায়)