রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৯

কাব্যিক|| পার্ট ১|| মুক্তগদ্য|| © Anjan Ghosh Roy 2019

কাব্যিক ১ (একটি মুক্তগদ্য)
©anjan ghosh roy


কাব্যিক ১
©অঞ্জন ঘোষ রায়
কার বা কাদের নিশ্বাস এ গাছ পাতারা সবাই থেকে থেকে মাথা ঝাঁকিয়ে ওঠে,তার তদন্ত করতে গিয়ে আমি বুঝেছি যে, যারা ঘুম ছাড়া পৃথিবীতে দিন এর পর দিন বেঁচে আছে,এটা তাদেরই বাঞ্ছনীয় কাজ।
তাদের মুঠোর ভিতর ঝুল ,কালি, রং, তেল, রোদ্দুর, ঘেন্না ,ইচ্ছে ,আদর , শব। সব শবঘন আক্ষেপ আর যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে থাকে। 
কোনো শিল্পী চেষ্টা করে দেখেনি কখনো যে ছবি আঁকা শেষে তুলি ধোয়া জল ছিটিয়ে দিয়েও , আগুনের দলা নেভানো যায়।
কোনো রাত কখনো পারেনি সমগ্র জীব জাতি কে ঠিক একইসাথে ঘুম পাড়িয়ে রাখতে।
কখনো কোনো কাগজ এর চরিত্র ,কালি ছাড়া দাম পায়নি তাদের ইচ্ছে মতন।আমাদের মূল্যবোধ এ অনেক কিছু লেখার থাকলেও,বলার থাকলেও সেসব স্নায়ুর অন্ধকারেই মারা যায় অনেক সময়।ভ্রূণ নষ্ট হতে হতে, জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা কমে গেলে ,কবির জীবনে অবশিষ্ট থাকে  ঘাম রক্ত খুন জল তেষ্টা ।কজন খোঁজ রাখি?কেউ না।
আমরা প্রত্যেকে ক্ষয় নিরাময় শিখে যাই একটা সময় বাদে।
কত তাপ এ পুড়ে যায় ঘাস,কত টা খয়েরী হলে মাটির রং,তবে বৃষ্টি নামে।আকাশ এর কতটা ক্ষিদে পেলে পলকা মেঘ ঘন হতে শুরু করে,জানার দরকার আছে কি? আলবাত আছে।
আমাদের ভিতর ভিতর মায়াপথ আর ছায়াপথ কতটুকু মসৃণ অথবা ক্ষীণ সেটাও বোঝার চেষ্টা করেছিল কত গুলো মানুষ। তারা এখন রোজ দিন গরুর মত জাবর কাটে কতগুলো হ্যাংলা মার্কা শব্দ বাক্য মুখে  নিয়ে।
কি এমন তাপ আছে তোমার ভিতর!তুমি কতদিন মানুষের মুখ দেখতে দেখতে বিরক্তিতে সেই মানুষের ভিড় এই আবার ঝাঁপ দিতে চেয়েছ! কত গুলো ঘেন্নার ঠোঙা পুড়িয়ে শীত এর রাতে ঘরের ভিতর হাত সেকেছ? আমি প্রশ্নের পর প্রশ্নই করে যাব,মরে যাবে তোমার উত্তর যথারীতি।তখন তুমি বোবা সেজে ইশারা য় কথা বলতে শুরু করবে।আর আমার ঠিক তক্ষনি,গলগল করে রক্ত বেরোতে থাকবে চামড়া ফেটে,তুমি আতকে উঠে এগিয়ে আসবে।ভুলে যাবে ওই মুহূর্তে বেমালুম,কখনো কোনো সময় আমি বলেছিলাম,"আমি কবি হতে চাই স্নিগ্ধা"।
তুমি এবার ঠিক আগের মতোই হেসে উঠবে,আর মজা করবে আমার ক্ষমতার দিকে তাকিয়ে।আমি দুটো হাত দিয়ে মেঝে খুড়ে দেখে নেবো কতটা নিচে মানসিক ভাবে অসুস্থ হবার আরো হাজার একটা সু-পন্থা বেছে নেওয়া যায়।
সুস্থ পৃথিবীর থেকে সরে গিয়ে আমি বেঁচে যাব।
এতটা সময় ধরে কেউ একটুও নড়েনি তার সিট থেকে।ধৈর্য আর আগ্রহ হারিয়ে কোনো  জীব জাতি পারেনা ইলেকট্রিক এর তারে বসে ট্রাফিক পুলিশের ঘুষ নেওয়া দেখতে,
কিংবা কোনো অন্ধ মানুষ এর ওপার হবার চেষ্টা।
এখানে কোনো কিছুর সাথে কোনো সামঞ্জস্য নেই,তবুও আছে। কার দখলে আমাদের কাব্যিকতা? এটা আমাদের না বুঝলেও চলবে। এটা মনে রাখতেই হবে,
ছাদ এর সিড়ি তে বসে সিগারেটের ধোঁয়া ছড়িয়েও কুয়াশা বানানো যায় । 

©Anjan ghosh roy






1 টি মন্তব্য:

প্রকাশিতব্য "অঞ্জন ঘোষ রায়" এর বই - নামঞ্জুর | Namanjur - Poem selection of Anjan Ghosh Roy

অঞ্জন ঘোষ রায় এর দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ   নাম - নামঞ্জুর  প্রকাশক - অভিজিৎ আচার্য্য। প্রচ্ছদ শিল্পী - মৌমিতা ভট্টাচার্য। প্রকাশিতব্য কবিতার ব...