মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৩

কবিতা - আমার শাস্তি হোক | Anjan Ghosh Roy

 

কবিতা - আমার শাস্তি হোক!

©অঞ্জন ঘোষ রায়


My Lord,

সিংহাসনে বসে থাকা রাষ্ট্রীয় দানব, শোনো

আমি আমার ক্ষিদের কথা বলতে গিয়ে

অন্যায় করেছি।

শিরচ্ছেদ আমার শাস্তি হোক,

কোনো জঘন্য - ব্রুটাল অপরাধ ছাড়াই।

মেঘের মতন গলে যাওয়া ইচ্ছে নিয়ে

আমার আর্জি - দাবি - অনুরোধ,

 শাস্তি হোক,শাস্তি হোক।


আমার হয়ে বারবার এটা বলবার কেউ নেই,

ওরা সবাই ভীতু,ওরা তোমার থুতু চেটে তেষ্টা মেটায়,

ওরা ভয় পায় মেরুদন্ড সোজা রাখতে।


 শাস্তি হোক আমার

এই উন্মাদ শতাব্দীর শান্তিপূর্ন রাষ্ট্রের

একটা কালজয়ী দৃষ্টান্ত হোক এটা,

যা রাষ্ট্র পারেনি কোনোকালে কোনো নাগরিক কে দিতে 

তেমন শাস্তি আমার জন্য বরাদ্দ হোক।


লাগাতার এই কথা গুলো বলে যেতে যেতে

কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি ,টের পাইনি।


শাসকের শাসানিতে এ আমার ঘুম ভাঙ্গেনি,

শাসকের পোশাকের মানুষ মারা গন্ধে 

আমার বমি আসেনি,

যতক্ষণ না আমাকে কেউ বিপ্লববাদী বলে ডেকেছে,

আমি জাগিনি।

জেগে উঠতেই আমার জিভ সেই একই কথা

বলতে শুরু করে দিয়েছে


হে রাষ্ট্র,নাগরিক

শিরচ্ছেদ আমার শাস্তি হোক,

কোনো জঘন্য - ব্রুটাল অপরাধ ছাড়াই।

মেঘের মতন গলে যাওয়া ইচ্ছে নিয়ে

আমার আর্জি - দাবি - অনুরোধ,

 

শাস্তি হোক,শাস্তি হোক।


©অঞ্জন ঘোষ রায়।

মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৩

লাজুক প্যাঁচা | অঞ্জন ঘোষ রায় এর কবিতা

 






কবিতা - লাজুক প্যাঁচা 

© অঞ্জন ঘোষ রায়।


বৃত্ত আঁকতে গেলে হাত কেঁপে যায়,

শোরগোল ভর্তি মাথার ভিতর একটা ফাঁকা বেঞ্চ,

এক ইঞ্চি ফুরফুরে জগৎ প্রবেশ করলে

সব চুপ,কেউ ভালো নেই,

পালক নরম বিছানায় ভালোবাসা - ঘুম থাকে না ।


হাওয়া তে নাট্যচর্চা অদৃশ্য মানুষের কাজ,

কোনো কার্নিভাল তেমনই দুর্বল মানুষের নয়।

শব্দের গর্ভপাতে নীরবতা জন্মায়,

আর অন্ধকারে নদীর শব্দে, বিমর্ষতা।


কোনো চাঁদ এর ছায়া রক্তের উপর পড়লে 

নিজেকে আততায়ী ধরে নেওয়া যায়,

হিজিবিজি মন এর টানেল কখনোই 

ফর্সা কেনো হয় না?

ঔপনিবেশিক যন্ত্রনায় কিসের কপিরাইট থাকে মানুষের? উত্তর বেপাত্তা।


উত্তর ডুবে গেছে নির্ঘুম বেডরুমের 

বেলাগাম খোলা থাকা জানলায়।

যেখানে নিজস্ব জঙ্গলের ভিতর দিয়ে 

বাঁশি বাজায় কোনো আত্মসুখ খুঁজতে থাকা

তুলতুলে লাজুক প্যাঁচা।


© অঞ্জন ঘোষ রায়।




রবিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৩

খবরের কাগজ | Khoborer Kagoj | Anan Ghosh Roy Kobita






কবিতা - খবরের কাগজ | © অঞ্জন ঘোষ রায় ২০২৩


খবর ফুরিয়ে গেলে যেটুকু কাগজ বাকি থাকে,

সেখানে কোনো কালি থাকে না।

ফুটপাথ দিয়ে কোনো মানুষ হেঁটে গেলে 

তার চোখ ফুটপাথে বসবাস করে।

ঢেউ কেটে কেটে পাথুরে মেঘ বানানো 

শিল্পীর কাজ নয়,

মন নিজস্ব যুক্তি দিয়ে হেঁটে যেতে যেতে থেমে গেলে,

স্রোত এর দরকার হয়।

খামোকা কাঁটা চামচ এর নিচে

তরল এর আহ্লাদ জমে থাকে,

প্রয়োজন নেই ,তবুও।

দেশ এ গরীব এর সংখ্যা বৃদ্ধিতে

পতাকা শোভা পায় বোধ হয়।

রাষ্ট্র ল্যাংটো হলে নাগরিক এর দুঃখ বাড়ে,

যে ফুল গাছ এ পাতা কম থাকে তাকে

 চিরকাল অসুস্থ মনে হয়।

© অঞ্জন ঘোষ রায়।

বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৩

অসতী পুরুষত্বের ফ্যান্টাসি

 



অসতী পুরুষত্বের ফ্যান্টাসি

© Anjan Ghosh Roy


মূলত আয়নার সামনে যাকে আমি দেখতে পাই
সে অত্যন্ত স্বচ্ছ সাহসী একজন বদ - লম্পট
দাগী চরিত্রের মানুষ।


যে হাসলে আমি তাকে ঘৃনা করি,
যে প্রেমিক সাজলে আমি তাকে কামুক প্রতিবিম্ব ছাড়া,
আর কোনো কিছুই ভাবতে পারিনা।


সমস্ত কিছু প্রকাশ পেলে তাকে থুতু দিয়ে চলে যেতে পারে
অধিকাংশ তথাকথিত ভদ্দর নোক অথবা মহিলা,
আমার আয়না আমার অসতী পুরুষত্বের
ফ্যান্টাসি বহন করে।


কেউ পাথর ছুঁড়ে মারতে গেলেও,
আমি বাধা দেবো না কখনোই,
কারণ তারা আমার আয়নার চরিত্র কে
হজম করতে অক্ষম ,


এটা ধ্রুব সত্যি দের মতোই ব্যাপক চকচকে।।।।


© অঞ্জন ঘোষ রায়

কবি এবং কেরানী কবি

মহৎ কবি কখনো ডায়েরি লিখবেন না, এটা আপনাকে বুঝতে হবে। তার জীবন কোন সময়ের ভাংচুর এর মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে নাকি সুখের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে,কবি যদি...