মায়া মানুষ
কিছু মায়ামানুষের চোখ
যাবতীয় জাগতিক বোধ অবশ করে দ্যায়।
পৃথিবীতে এর আগে আজ অবধি যত গুলি
চোখের কবিতা লেখা হয়েছে,সেসব কে
বিশাল খাটো লাগে,
বিপন্ন লাগে,বিমর্ষ লাগে।
দৃষ্টি যতদূর যায় ,
শাল গাছ টপকে,বন বাদার পেরিয়ে,
১১২ বছর এর বৃদ্ধ বট এর ছায়া এড়িয়ে,
যে কোনো বিন্দুতে ,যদি তাকে মনে করা যায়!
এক অদ্ভুত স্নিগ্ধ তেজস্ক্রিয়তা ডানা ঝটফট করে
হাজির হয়, ডাকাবুকো বর্ষার মেঘের মতন।
তার সাথে অদৃশ্য ভাষায় কথা বলে
পাওয়া যায়,শৈল্পিক নির্যাস।
সূর্য ডুবে গেলে জঙ্গলে আগুন জ্বালায় কারা?
তার চেয়েও বেশি আলো থাকে,
বনেদী জ্যোৎস্নায়,
তার করুণ কলমীলতা দৃষ্টিতে।।
তবে,
অনেক টা নিচুস্তর এ আমি থাকি।
সেখান থেকে জ্যোত্স্না কে ভালবাসা
আমার দুঃসাহস।
ফ্যালফ্যাল করে অন্ধকার থাকে শুধু এই স্তর এ,
যেখানে নিজের প্রতিবিম্ব দেখতেও
চরম বেগ পেতে হয়।
দূরে চিলের শব্দ পাক খেতে খেতে
এই স্তরের কাছে আসার আগেই
দপ করে মিলিয়ে যায়।
মায়া কামনা আকাঙ্ক্ষা গুলো কেমন
বাষ্পের মতন !
ওরা বলেছিল ক্ষমতার কাছে চিরকাল
দুর্বল মারা যায়,
আর মায়াবীর কাছে কবিরা।
যথাযথ,সঠিক কথা বোধ হয়।।
© অঞ্জন ঘোষ রায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন