বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০২৫

কবি এবং কেরানী কবি

মহৎ কবি কখনো ডায়েরি লিখবেন না, এটা আপনাকে বুঝতে হবে। তার জীবন কোন সময়ের ভাংচুর এর মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে নাকি সুখের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে,কবি যদি তার উপর নির্ভর করে কবিতা লিখে থাকেন ,তাহলে তাদের কেরানী কবি বলা যেতেই পারে। প্রেমে হাবুডুবু খেতে খেতে প্রায় সকল যুবক কবি হয়েই যায় একসময়, তাহলে তারাও কবিতার ধারক বাহক,,তাই কি?? নিশ্চই নয়। সুতরাং কবির দায়বদ্ধতা থাকে কবিতার প্রতি,সে নিজের রোজনামচা লিখতে আসেনি, সে নিজের গরিবী,নিজের ভাঙ্গা হৃদয়ের ন্যাকা কান্না, নিজের চড়াই উতরাই কে লিখতে আসেনি, ওসব লেখার জন্য গল্প উপন্যাস ডায়েরি অনেক কিছু আছে,ফেসবুক পোস্ট আছে,, কবিতা কে কবিতার নির্জনতায় ছাড়ুন, দর্শনে ছাড়ুন, মনস্তত্ত্বে ছাড়ুন, পরবাস্তববাদ হোক,বা জাদু বাস্তববাদ এর হাতে ছাড়ুন,যদি আপনার দ্বারা না হয়ে থাকে হাল ছাড়ুন,কিংবা চর্চা করুন, কিন্তু সাধারণ পাঠক কে কবিতা নাম দিয়ে নিজের রোজ নামচা কে কবিতা হিসেবে খাওয়াবেন না, বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবেন না।।। ছ্যাঁকা লেগে থাকলে ইগনোর করবেন , যদিও গভীর জাত কবিতা তে লোকসান কবির, ব্যক্তিগত জীবন মানুষ খায় ভালো।।।।।😊

রবিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২৫

কবি কবিতা ও প্রচার

কবি সাব্জেক্ট দিয়ে সাধারণ যে কাউকে ছবি আঁকতে বলুন,কিংবা মাথার ভিতর একটা প্রতিকৃতি বানাতে বলুন, দেখবেন বাঙালি কবি বলতে এখনো বোঝে গতানুগতিক সেই একটা কাঠামো,চশমা,পাঞ্জাবি, সাইড ব্যাগ,উস্কো খুস্কো,চটি, দাড়ি ভরা গাল (কবির সিং এর ও ছিল) শান্তিনিকেতন এর মাফলার (যদি শীতকাল হয়) যাই হোক,বাঙালির কি দোষ!আমরাই ভাবিয়েছি কবি আসলে এমন ই হয়, তাহলে কবি অমন হয় না? কবি যে এমনই হতে হবে?এই ছক ভাঙতে হবে। ২০২৫ এ দাড়িয়ে কবিকে একজন স্পর্ধার,আত্মবিশ্বাস এর চরিত্র হতে হবে,কবি কে হতে হবে সোজা মেরুদণ্ডের একটা মানুষ। বাঙালি কবি কে চিরকাল গ্রহণ করেছে অভাবী,ভেঙে যাওয়া মানুষ,অসহায়,এই রকম সমস্ত নেগেটিভ বিশেষণ দিয়ে,,যেন কবি হলে তাকে এসব নিয়েই থাকতে হবে!হবেই। কবি লেজ গোটানো নিরীহ বিড়াল নয় মানুষ কে বুঝতে হবে। এখানে কবিতা লিখে পেট চলে না কারো, স্থায়ী ইনকাম,ব্যাক সাপোর্ট না থাকলে এখানে কবিতা লেখা পাগলামি এবং অসুখ।সেখানে দাঁড়িয়ে নিজের কবিতার বই এর বিজ্ঞাপন নিজে দেবেন এতে ভুল কোথায়! নিজের পকেটের টাকা ইনভেস্ট করে খিচুড়ি কেও কাব্যগ্রন্থ বানিয়ে দেওয়া যায়,আমরা এমন এক অসুস্থ দূষিত সমাজে রয়েছি,এখানে সব চলে,সব সম্ভব। এখানে প্রকাশ্যে ক্রাইম চলে, রাষ্ট্র ধর্ষকের পোদে চুমু খায়,আর আপনি ভাঙ্গা নিরীহ কবি হয়ে কবিতা লিখবেন??? আপনি এক নবীন কবি,কোনো এক সুহৃদ প্রকাশক নিজের টাকা যখন আপনার কবিতায় ইনভেস্ট করছে আপনার দায়িত্ব থাকে সেই প্রকাশক কেও সেই টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার,তার জন্য বিজ্ঞাপন আত্মপ্রচার জরুরী ।এখানে আপনাকে বাস্তববাদী হতেই হবে। আমি কখনোই ভাবিনি প্রকাশক পাবো, ২০২৫ এই আমার কবিতার প্রথম স্তর প্রকাশ পেতে চলেছে , হ্যা প্রথম স্তর। আমার হয়ে প্রচার এর জন্য আমি ই আছি, এতে কোনো অন্যায় বা ভুল দেখি না।এই রাষ্ট্র,এই সমাজ আপনাকে আপনার যথাযথ মর্যাদা দিতে সক্ষম নয়,আপনাকে নিজের দ্বারা যেটুকু সম্ভব হিসেব বুঝে নিতে হবে। আর যদি অসহায় কবি সেজে গালে হাত দিয়ে বসে থাকা আপনার কাছে আদর্শ মূলক মনে হয় তবে আপনি প্রস্তর যুগের খুব কাছেই আছেন। পাঠকের চোখে চোখ রেখে কবি তার কবিতা পড়তে বলবে, কবিতা কোনো ন্যাকা ফসল নয়। বইটি প্রকাশিত হলে আশা করব অনেকেই কিনবেন না,কারণ এই কবি কোনো কবিসুলভ আচার আচরণ করেন না। আসছে বাকি আপডেট, সবাইকে আমার প্রণাম,এবং ভালোবাসা। © অঞ্জন ঘোষ রায়

কবি এবং কেরানী কবি

মহৎ কবি কখনো ডায়েরি লিখবেন না, এটা আপনাকে বুঝতে হবে। তার জীবন কোন সময়ের ভাংচুর এর মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে নাকি সুখের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে,কবি যদি...